কেরালার হাতি হত্যা - শিক্ষিত সমাজ - পশুহত্যা।
কেরালার হাতি হত্যা। চূড়ান্ত অমানবিক। মানব সমাজের কলঙ্ক। যা হয়েছে তা কাম্য নয়। দোষীর শাস্তি সমস্ত মানুষ চায়। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী ও বনদপ্তর জানিয়েছে দোষীর শাস্তি হবে।
তবুও কিছু কথা আমার বলার ছিল। এই ঘটনাটা হয়তো আজ সামনে এসেছে, এইরাম ঘটনা কিন্তু অনবরত আমাদের দেশে সব জায়গায় প্রতিনিয়ত হয়ে চলেছে। আজ বলে নয় বহু আগে থেকে। কালীপূজার কুকুরের পিছনে বাজি ছেড়ে দেওয়া থেকে শুরু করে, নানা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। কিন্তু তার থেকেও ভয়ঙ্কর যে, আমরা যে ধর্মকে মন প্রাণ দিয়ে মানি। সেই ধর্মের নামেই কিন্তু চিরকাল প্রাণী হত্যা করা হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। বর্তমানেও প্রচুর মন্দিরে প্রতিদিন নিয়মকরে নানা প্রাণী বলি হয়। মহিষ থেকে শুরু করে ছাগল কিংবা মুরগি। ঈদে কুরবানীর জন্য বলি হয় প্রচুর প্রাণী।
(কালীঘাট)
না, খাওয়ার জিনিস মানুষ খাবেই। মানুষ সর্বভূক প্রাণী তারা তাদের খাদ্যের চাহিদা পূরণ করতে প্রাণী হত্যা করবেই। এটা জগতের নিওম।
ঠিক আছে! কিন্তু প্রাণীহত্যা টাকে উৎসবে পরিণত করা নিয়ে আমার আপত্তি। কোনো ধর্মগ্রন্থে কি নির্দেশ দেওয়া আছে যে তোমায় ঈশ্বরের নামে পশুহত্যা করতেই হবে। নেই। আরে পশু তো ছার, মানুষও বলি দিতে পারে এরা ধর্মের নামে। 🤷
এবার আসা যাক অন্য দিকে। রাজনীতিতে নানা সময় খুন খারাবি লেগেই থাকে, লুকানোর কিছু নেই। এটা আমরা সবাই জানি, কেউ কম কেউ বেশি। এতদিন মানুষ মরলে সেই মানুষকে নিয়ে রাজনীতি হত। হায়রে মানুষ পশুগুলোকে তো ছার রে এবার। ওদের অন্তত ছার ভাই। ওদের নিয়েও রাজনীতি? আমি নানা পোস্ট দেখেছি। 🤷
আর একটা ব্যাপার।
শিক্ষা মানুষের মানসিকতার বিকাশ ঘটায়। আর, অমানুষের ক্ষেত্রে অমনসিকতার। সকলেই জানি।
তাও সকলে মিলে। এই ১০০% শিক্ষার হার! যেনো রাজ্যটা শিক্ষিত হয়ে খুব ভুল করেছে। এই ঘটনা থেকে সকলের বোঝা উচিত যে, শিক্ষা খুবই বাজে জিনিস। শিক্ষিতরা দূরে চলে যাও।
এর পরে এরাই বলবে, বেশি শিক্ষিত হলে যা হয়। কম শিক্ষিত আছি এটাই ভালো। এরম যেন ধারণা না হয়।
ভুলে যাবেন না, শিক্ষাই মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোতে আনে। বিজ্ঞানই ওষুধ বানায়, আবার মানুষ মারার বোমা ও বিজ্ঞানেরই দান।
সব কিছুর খারাপ ভালো দুটো দিক একসাথেই থাকে। আসলটা হল মানবিকতা। সুতরাং, তুমি এর জন্য শিক্ষা কে প্রশ্ন করতে পারোনা।
বিরোধটা এরামি হাওয়া উচিৎ যে, এইরূপ নির্মম পশু হত্যাকারীর শাস্তি চাই। মানসিকতা ঠিক কোন পর্যায়ে নামলে এরম কাজ করতে পারে। সমগ্র মানব জাতির লজ্জা এটা।
আগেও বলেছি এটা তো শুধু সামনে এসেছে, প্রচার হয়েছে। এরম হাজার ঘটনা ঘটে। আমাদের ঠিক এরমই সবাই মিলে তার বিরোধিতা করতে হবে।
এই ব্যাপারটার মধ্যে একটু রাজনীতি, একটু শিক্ষিত সমাজকে একটু খোঁটা দেওয়ার ব্যাপার আছে বলেই সবাই মাতামাতি করছি, সেরাম না তো!
আমাদের মূল লক্ষ্য টা কিন্তু পশুহত্যা বন্ধ করা। ওটা থেকে ডাইভার্ট করে রাজনীতি বা শিক্ষিত সমাজ কে আক্রমণ না হয়।
এরম বললাম কারণ। বাড়িতে ভুল করে ঢুকে পড়া কুকুরকে বৃন্দাবন দেখিয়ে দেওয়া পাবলিক ও আজকাল এর বিরোধ করছে দেখেছি। মায়ের পায়ে বলি দিয়ে আসা লোক ও। সবাই। তো সবাই যদি এত সচেতন তাহলে এখানে পশুহত্যা হচ্ছে কীকরে। কুকুর কে বিষ দিয়ে মেরে দিল, কি দোষ না বাড়ির সামনে পায়খানা করেছিল।
আবার বলছি, যা হয়েছে নির্মম। তার বিরোধ হয়েছে হচ্ছে হবে। সাথে এগুলোর ও বিরোধ করবো।
Comments
Post a Comment